শিক্ষার্থীদের অভিমত
আমার উচ্চ শিক্ষার কোনো ইচ্ছাই ছিলনা। আর এটাই হলো হয়ত আমার জীবনের বড় একটা পিছুটান। কারণ কোনো কিছুতে সফলতা পেতে হলে আগে পাক্কা নিয়ত লাগে। যাইহোক কলেজ লাইফে সারাদিন ছোট বাচ্চা ও কোচিং এ পড়িয়ে বেড়াতাম। তাই নিজের পড়াশোনার বেসিক হারিয়ে ফেলি। জিরো বেসিক ও এক বুক সাহস নিয়ে বর্ণ তে ভর্তি হই। কিন্তু বোর্ড রেজাল্ট এ ফেইল করে বসি। বাবার পরামর্শে তবুও কোচিং চালিয়ে যাই। আমাদের কলেজে ২৬জন ফেইল করে। আমার বাবা মা এর দোয়ায় আল্লাহর রহমতে বোর্ড চ্যালেঞ্জ করি। আমাদের কলেজে আমার একার রেজাল্ট পাস হয়ে আসে। কিন্তু কোথাও পরীক্ষা দেয়ার যোগ্যতা থাকলোনা( 3.17)। মনে চাপলো অন্তত একটা কিছু করার। সত্যি বর্ণ একটা অসাধারন যায়গা। Saifur Rahman ভাই এর পরামর্শে নার্সিং করার সিদ্ধান্ত নেই এবং নাসিং এ চান্স পাই। অন্যের ভুল থেকে শিখো,,নিজের ভুলের খেসারত অনেক বড়ও হতে পারে।
মোঃ রাইফ মুনতাসির
সরকারি নার্সিং কলেজ
জুনিয়ারদের একটা কথাই বলবো কোন কিছুর উপরে আশাটা যেন বেশি না করে তাহলে নিরাশায় বেশি ভুগবে। সেটা যেকোনো ক্ষেত্রেই। আর বর্ণের ব্যাপারে তো অনেক শুনছো তারপরেও বলছি বর্ণ বর্ণই।আমার কাছে বর্ণই বেস্ট। বিশেষ করে Saifur Rahman ভাইয়ের গাইডলাইন যা সত্যিই অতুলনীয়। তিনি আমাকে বলছিল আমার মনে আছে তোমার এক পা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু একটা ভালো পজিশন অর্জন করার চেষ্টা করো। উনি রিপোর্ট কার্ডে এটা লিখে দিছিল এবং সিগনেচার করে দিয়েছিল। আজ সেই রিপোর্ট কার্ডটা দেখে ভাবলাম আমিও কিছু বলি। এই রিপোর্ট কার্ডটা ধরে নিতে পারো তোমার এডমিশন জার্নির আমলনামা। তাই এই রিপোর্ট কার্ডের উপর যত্নবান হওয়া জরুরী। বর্ণের উপর ভালোবাসা অসীম।আমি চির কৃতজ্ঞ সাইফুর ভাইয়ের গাইড লাইন এর। ডিপ্রেশন এডমিশনের অঙ্গ। কতবার ডিপ্রেশনে ভুগেছিলাম সাইফুল ভাইয়ের পরামর্শ নিতাম মনে অনেক সাহস পেতাম এবং ভালো কিছু করার আরো বেশি স্বপ্ন দেখতাম।
মোঃ সিফাত বিন ওসমান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
এইচএসসি পরীক্ষার পর এডমিশন কোচিং করতে বর্ণ এডমিশন কেয়ারে ভর্তি হই। ঢাকাতে আসার আগে মনে ভয় ছিল, কোথায় যাচ্ছি? পড়াশোনা কেমন হবে? কিন্তু এখানে এসে কিছুদিন যাওয়ার পর মনের ভয় কেটে গেল। এখানকার ডিসিপ্লিন, পড়াশোনা, পরীক্ষার ব্যবস্থা, হোস্টেল ব্যবস্থা সবকিছুই অন্যান্য কোচিং এর তুলনায় আলাদা ছিল। তাছাড়া পরিচালক Saifur Rahman ভাইয়ের এবং চেয়ারম্যান আপুর কাউন্সিলিং যে কতটা হেল্পফুল ছিল তা বোঝানো অসম্ভব। জুনিয়রদের বলে রাখি এটা কোন তথাকথিত কোচিং সেন্টার নয়। এখানে আসলে অবশ্যই অন্যান্য কোচিং এর তুলনায় তুমি বেশি উপকৃত হবে। আমি যখন ভর্তি হই তখন মনে হয়েছিল আমি কি পারব? আমার দ্বারা কি হবে? তবে দিনশেষে আমি খালি হাতে ফিরিনি!!
নিত্যানন্দ রায়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আসসালামু আলাইকুম। আমি মুসফিরাত জাহান। কলেজ:ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ। বর্ণ রোল: ৩০৫১।আলহামদুলিল্লাহ, মহান আল্লাহ তায়া’লার অশেষ রহমতে, বাবা-মা ও শিক্ষকদের দোয়ায় আমি এবছর ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে, ঢাবি (B) - ২০১৪ তম,জাবি (C)- ১১৭তম এবং রাবি (A) ইউনিট এ ২৬৮ তম স্থান অর্জন করেছি।বর্ণের ক্লাসগুলো ছিল অসাধারণ যা আমাদের কঠিন পড়াগুলোকে সহজ করে দিয়েছে।ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই বর্ণ এডমিশন কেয়ারকে আমাদেরকে এত সুন্দরভাবে গাইডলাইন দেওয়ার জন্য।
মুশফিরাত জাহান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আসসালামু আলাইকুম। আমি ইভা সুলতানা ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে।এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় আল্লাহর রহমতে ঢাবিতে ৭১ তম ও রাবিতে ২৭৩ তম স্থান অর্জন করেছি। এডমিশন সময়টা আসলে খুবই সংক্ষিপ্ত একটা সময়। এই অল্প সময়ে সঠিক গাইডলাইনটা অত্যন্ত জরুরি। বর্ণ আসলে কেমন এই দ্বিধা তোমাদের মত আমার নিজেরও ছিল।অনেক ভয় পাচ্ছিলাম যে এইখানে আসা ঠিক হবে কিনা। কিন্তু এত প্রতিকূলতা থাকার পরও চলে আসলাম বর্ণে সাইফুর ভাইয়া এবং বর্ণের নির্দিষ্ট কিছু রুলস্ এর উপর ভরসা করে যেগুলো আমাকে আমার স্বপ্নে পৌছাতে সাহায্য করেছে।বর্ণ কেমন সেটা এইখানে আসলেই তোমরা বুঝতে পারবা।বর্ণ আসলে শুধু একটা কোচিংই না।এইটা একটা পরিবার।
ইভা সুলতানা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আমি এমন একজন ছাত্র যার দ্বারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া সম্ভব হবে তা চিন্তার বাইরে। আলহামদুলিল্লাহ আমি একজন পাবলিকিয়ান। আমাদের প্রিয় সাইফুর ভাইয়ের সাথে যখন বসি তখন মোট কথা স্বপ্ন টা ভেসে উঠত আগন্তুক জুনিয়র দের নিকট একটাই অনুরোধ যে, বর্নের ভুল ত্রূটি না ধরে, পড়ালেখাতে ডুবে থাক ও।আর যদি মন না বসে তাহলে সাইফুর ভাইয়ের সাথে বসবা। ইনশাআল্লাহ একরকম পড়ার প্রতি ভালোবাসা জাগবে। আমার মতো ছাত্র যখন পাবলিকিয়ান হতে পেরেছে তোমরা কেন পারবা নাহ? অবশ্যই পারবা চেষ্টা করে যাও ইনশাআল্লাহ হবে। বর্ন থেকে সবরকমের সাহায্য পাবে ইনশাআল্লাহ। যাই হোক অনেক কথাই বলে ফেললাম, সবশেষে তোমার কাছে একটাই কথা, বর্ন তোমাকে রাস্তা দেখিয়ে দিবে, চলতে তোমাকে হবে।
জাহিদুল ইসলাম
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়